জন্ম সনদ একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলে কিছু ক্ষেত্রে জন্ম সনদ প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক। জন্ম নিবন্ধন কী কী কাজে লাগে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
ক্ষেত্র |
জন্ম সনদ তৈরি না করার সমস্যা |
|
১ |
স্কুলে ভর্তি |
বর্তমানে স্কুলগুলোতে ভর্তির সময় বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম সনদ চাওয়া হয়। অনেক সময় জন্ম সনদ না থাকার কারণে মেধা থাকা সত্ত্বেও ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয় না। |
২ |
জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি |
জন্ম সনদ না থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যায় না। ফলে ভোটাধিকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন নাগরিক সুজোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। |
৩ |
পাসপোর্ট তৈরি |
পড়াশোনা, জীবিকা, ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে যেতে প্রয়োজন হয় পাসপোর্টের। পাসপোর্টের আবেদন ফরমের সাথে জন্ম সনদ অথবা জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হয়। জন্ম সনদ না থাকলে জতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা যায় না, সুতরাং পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করা যায় না। |
৪ |
সরকারী চাকরি বা স্বায়ত্তশাসিত চাকরি |
সরকারী চাকরি বা স্বায়ত্তশাসিত চাকরির ক্ষেত্রেও বর্তমানে জন্ম সনদ প্রদান করতে হয়। এক্ষেত্রে জন্ম সনদ না থাকলে মেধা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি হাতছাড়া হয়ে যায়। |
৫ |
বিয়ের নিবন্ধন |
বিয়ের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিয়ের সময় বয়স প্রমাণের জন্য এটি ভূমিকা পালন করে। তাই এটি ব্যতীত বিয়ের মতো সামাজিক কাজেও বাধা আসে। |
৬ |
সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় |
সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের পর রেজিষ্ট্রেশনের সময় জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয়। এই সনদ না থাকলে এক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। |
৭ |
বয়স প্রমাণের জন্য |
অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে শিশুরা নানা ধরনের কিশোর অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে বা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। এক্ষেত্রে বিচার শুরু করার আগে বা শাস্তি প্রদানের আগে তার বয়স প্রমাণের প্রয়োজন হয়। এজন্য জন্ম সনদ মূল ভূমিকা পালন করে। |
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS